X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নয়ন জুড়াচ্ছে বরিশালের ১১৪ বছরের পুরনো ‘লাল গির্জা’

আনিছুর রহমান স্বপন, বরিশাল
২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৩৫আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:৪৪

বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন চার্চের এপিফানী গির্জা



ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের চিত্তাকর্ষণের অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বরিশালের অক্সফোর্ড মিশনের লাল গির্জা। শতবর্ষী এ গির্জার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এখনও মানুষের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্র। কবি জীবনানন্দ দাশের বাড়ি থেকে একটু এগুলেই জীবনানন্দ দাশ সড়কে অবস্থিত পামগাছ ঘেরা এ গির্জার সীমানা শুরু। লাল ইট দিয়ে নির্মিত বলে চার্চটি ‘লাল গির্জা’ নামেও পরিচিত।

চার্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, এ চার্চের বয়স ১১৪ বছর। ১৯০৩ সালে চার্চের প্রথম ধাপের কাজ শেষে হয়। পরে সে বছরই ২৬ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় এই এপিফানী গির্জা, এটি বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন চার্চ নামেও বহুল পরিচিত। ১৯০৭ সালে এর দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ হয়। সিস্টার এডিথের স্কেচ ও ডিজাইন অনুসারে ফাদার স্ট্রং এ গির্জার নকশা চূড়ান্ত করেন, প্রধান প্রকৌশলী ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ফ্রেডেরিক ডগলাস। নির্মাণের ১১৪ বছর পরেও আজও এর সৌন্দর্যের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। 

বরিশাল অক্সফোর্ড মিশন চার্চের এপিফানী গির্জা কর্তৃপক্ষের দাবি, স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন পুরাকীর্তিগুলোর একটি।

চার্চের ব্যবস্থাপক বেনডিক্ট বিমল ব্যাপারি বলেন, ‘ধর্মীয় পরিবেশের পবিত্রতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজস্ব সম্প্রদায়ের মানুষ ছাড়া সাধারণদের জন্য চার্চের সীমানার ভেতর প্রবেশাধিকার সীমাবদ্ধ।’

গির্জার ভেতরের অংশ জানা যায়, গির্জা ছাড়াও ছোট-বড় তেরটি পুকুর, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবাসিক ছাত্র হোস্টেল, ফাদার ও সিস্টারদের আবাসন, পাঠাগার ও হাসপাতাল আছে এ চার্চ প্রাঙ্গণে। সেখানেই বসবাস করেন চার্চের সেবায়েত লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্ট ওরফে লুসি হল্ট। ৫৭ বছর ধরে অক্সফোর্ড মিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি।

গির্জার প্রাঙ্গণ লুসি হল্ট জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মানুষদের সেবা দেওয়ার কারণে স্থানীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তার। ঐতিহাসিকতা ও সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়রা এ চার্চের প্রতি বেশ আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় জাদুঘরের কাস্টডিয়ান শাহীন আলম বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে যেভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে সেজন্য চার্চ কর্তৃপক্ষের ধন্যবাদ প্রাপ্য। তবে এটি সবার জন্য উম্মুক্ত করা হলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ আরও বাড়বে।’

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুই বছর পর আবার একসঙ্গে...
দুই বছর পর আবার একসঙ্গে...
বৃষ্টি এবং প্রেম
বৃষ্টি এবং প্রেম
হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
হামাসের রকেট হামলায় ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
পরপারে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো মেনোত্তি
পরপারে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো মেনোত্তি
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?